ময়মনসিংহের কবি নজরুল কলেজের ছাত্রী নবাগত কন্ঠ শিল্পী শারমিন সুমি। ছোটবেলা থেকেই শারমিন সুমির স্বপ্ন ছিল একজন সংগীত শিল্পী হওয়ার। সেই স্বপ্নকে পূরণ করতেই শারমিন সুমি গানের উপর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন অনেকদিন।গীতিকার সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক শিবচরের সোহেলের সহযোগিতায় শারমিন সুমি তার জীবনে প্রথম গানটি গেয়েছেন সাহসী হিরো আলম ছবিতে দেশের জনপ্রিয় শিল্পী প্রতিক হাসানের সাথে দ্বৈত কন্ঠে।
এ প্রসঙ্গে শিল্পী শারমিন সুমি বলেন যে, আসলে গানের উপর আমার ভাল প্রশিক্ষণ নেওয়া এবং আমি ভালো গাইতে পারি সত্ত্বেও শিল্পী হওয়ার জন্য ছয়-সাতজন গীতিকার সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক এর সাথে যোগাযোগ করেও শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার জন্য কারো নিকট থেকে কোনো সহযোগিতা পাইনি অবশেষে ঢাকা এফডিসিতে মাই টিভির একটি অনুষ্ঠান পরিচালনা ও উপস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন শিবচরের সোহেল ভাই, সেখানে তার সাথে পরিচয় হওয়ার পর আমার আব্বুকে বলেছিল আমাকে নিয়ে একদিন গানের স্টুডিও তে আসতে।
কথামতো আব্বুকে নিয়ে একদিন স্টুডিওতে সোহেল ভাইয়ের সাথে দেখা করলাম, সোহেল ভাই প্রথমে আমার ভয়েস পরীক্ষা করার জন্য খালি কন্ঠে কয়েকটা গানের কয়েক লাইন গাইতে বললো এবং মাইক্রোফোনেও ভয়েস চেক করে বললো যে আমাকে দিয়ে হবে। তখন আব্বু সোহেল ভাইকে বললেন যে,আমার এবং সুমির দুজনেরই ইচ্ছে যে একজন ভালো শিল্পী হবে কিন্তু কয়েক জায়গায় যোগাযোগ করে হতাশ হয়েছি।তখন সোহেল ভাই বলল যে শারমিন সুমি তার জীবনে প্রথম গানটি গাইবে সাহসী হিরো আলম ছবির জন্য বিখ্যাত শিল্পী প্রতিক হাসানের সাথে ডুয়েট।
এই কথাটা শুনে আমার আব্বু যতটা খুশি হয়েছিল সেদিন আমি ততটাই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম কারন প্রতিক হাসানের মতন একজন বড় মাপের শিল্পীর সাথে ব্যালান্স করে গাইতে পারব কিনা টেনশনে পড়ে গেলাম, তারপর সোহেল ভাই আবার যে কবে দেখা হবে শিরোনামের সেই গানের কথা সুর ও মিউজিক ট্রাক আমাকে বুঝিয়ে দিয়ে বাসায় এক সপ্তাহ সুর-তাল-লয় প্র্যাকটিস করতে বললো।
পরবর্তীতে স্টুডিওতে এসে গানটির ভয়েস দিলাম, সোহেল ভাই এর সহযোগিতাই আমার জীবনের প্রথম গান সিনেমায় গেয়েছি তাও আবার প্রতিক হাসানের সাথে এটা আমার সৌভাগ্য। বর্তমানে গান গাওয়ার পাশাপাশি বিজয় টিভিতে সংবাদ পাঠ ও অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় কর্মরত আছি। গান সংবাদ পাঠিকা ও উপস্থাপিকা তিনটি মাধ্যম নিয়েই শারমিন সুমি মিডিয়ায় ক্যারিয়ার গড়ার আশা ব্যক্ত করেন।