নিশিরাতের চন্দ্রিমা
রুটির মতো ঝলসানো হাসি
নূরে নূর করিয়ে দেয় মহাসুন্দর বসুমতি।
ইন্দু তারার হীরক জ্যোতি
ছড়িয়ে দেয় দুর্বার মাঠে
সত্যি প্রকৃতি সাজে অপরূপা ঋতুবৈচিত্র্য
হেমন্তের সোনার ফসল ভরা মাঠ
যখন শূন্য হয়ে পরে
তখনই বোঝা যায়
ঘন কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে
প্রেরিত হচ্ছে শীতের আমেজ
এই শীতে পুরো প্রকৃতি সেজেছে
রঙের উৎসবে, চারিদিকে ফুটেছে
শিমুল, পলাশ, মোরগ ও মৌরিফুল
তাদের রূপ -রস এবং সুবাসিত গন্ধ
প্রেমকে জানায় সুস্বাগত
বিশেষ করে চাঁদনী রাতের প্রেমকে।
এখন ঝিরিঝিরি প্রপঞ্চন
আর নির্জন সন্ধ্যা তীত
পল্লী গ্রামের পথঘাট প্রান্তরে
কোথাও কোনো প্রাণের আবার মাত্র নেই
যেন পূর্ণিমার রাত
চাঁদ যেন তার অপূর্ব আলো দিচ্ছে পৃথিবীর বুকে
এই রাতে নীল আকাশের নিচে
শিশির সিক্ত ঘাসের উপরে
একটি মাদুর বিছিয়ে বসেছি
আর লিখছি
তোমার জন্য একটি নির্ভুল প্রেমপত্র।।
চাঁদেরও কলঙ্ক আছে
কলঙ্ক নেই বুঝি শুধু তোমার
তুমি এত অপরূপা
তা আমি ভাবতেই পারিনি
সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টির সকল রূপ
তোমাকেই দিয়েছে
তোমার দেহ মন আচার-আচরণ
চলাফেরা পোশাক-পরিচ্ছেদ
আমি নিজেই নিখুঁতভাবে পরিদর্শন করেছি
কোথাও তোমার বিন্দুমাত্র ভুল বের করতে পারিনি
পারবো না বুঝি।।